
প্রকাশিত: Wed, May 29, 2024 3:27 PM আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 11:19 PM
কোক স্টুডিও বাংলাকে ধন্যবাদ, অনেক গানকে তারা নতুন করে তুলে আনছেন বলে; নতুন কিছু শ্রোতা সৃষ্টি হচ্ছে
আনিস আলমগীর
ওয়ারফেজের অবাক ভালোবাসা বা সব আলো নিভে যাক আঁধারে আমার আগে তেমন করে শোনা হয়নি। হয়তো শুনিনিও। যারা এই গানের আগের শ্রোতা তারা এক নস্টালজিয়ায় ভুগছেন এখন, নতুন করে কোক স্টুডিও বাংলায় এই গান শুনে। অবশ্য আমার তেমন কোনো অনুভূতি নেই এটা শুনে। দ্বিতীয়বার শুনতেও ইচ্ছা হয়নি। আমার ধারণা এই গান খুব শ্রোতা পাবেও না। তবে কোনো এক নির্জন রাতে সমুদ্রের তীরে কারো কোলে মাথা রেখে এই গান যদি আমি এখনো শুনি, নির্ঘাত হারিয়ে যাবো। আহ কি সুন্দর কথাগুলো। সব আলো নিভে যাক আঁধারে, শুধু জেগে থাক ওই দূরের তারারা, সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়, শুধু জেগে থাক এই সাগর,আমার পাশে। আশি-নব্বই দশকে সোলস থেকে শুরু করে ফিডব্যাক, ফিলিংস, রেনেসাঁ, নগর বাউল, এলআরবি, আর্ক, মাইলস, চাইম, দলছুট মোটামুটি শোনা হয়েছে। ওয়ারফেজ কি করে বাদ পড়লো জানি না। ইনফ্যাক্ট কুমার বিশ্বজিৎ, এন্ড্রু কিশোর, তপন চৌধুরী, কনকচাঁপা, বেবি নাজনিন, ডলি সায়ন্তনীসহ অনেকে যখন নিজস্ব অ্যালবাম নিয়ে আসলো, ব্রান্ডের প্রতি আমার আকর্ষণ কমতে শুরু করেছিল। ব্র্যান্ডের গানেও বদলে যাচ্ছিল পুরনো সুরের ধারা। সে কারণে খুব হিট না হলে নতুন জেনারেশনের অনেক ব্র্যান্ডের গান আমি শুনিনি বললেই চলে। জিমে ওয়ার্কআউট করতে গিয়ে গত সপ্তাহে আর্টসেল-এর গান শুনলাম কয়েকটা, স্পটিফাইতে। চলতেছিল তাই শুনতে ছিলাম। কোনো আকর্ষণ বোধ করলাম না দ্বিতীয়বার শোনার। আমি কি তবে জেনারেশন গ্যাপে আছি। সেটাও ঠিক বলতে পারছি না। শূন্য এর শো দেখেছিলাম প্রায় ১০ বছর আগে। ভালোই লেগেছিল। ব্ল্যাক, অর্থহীনের কিছু কিছু গান এখনো ভালো লাগে। দুই/তিন মাস আগে চিরকুটের শো শুরু হলো এক জায়গায়, আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে। দর্শকদের অনেকে তা দেখার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ছিল। প্রধান গায়িকা দুইটা গাওয়ার পরে পানসে মনে হলো আমার।
গাইতে যেন তার কী কষ্ট, অথচ এই জেনারেশনের জনপ্রিয় শিল্পী তিনি। আসলে সময় একটা বড় ফ্যাক্টর। আমরা যখন ভার্সিটিতে, মুজিব পরদেশী নামের এক শিল্পী এক ক্যাসেট দিয়ে পুরো বাংলাদেশ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তার গান আমি বন্দি কারাগারে ব্যবহার করে বেদের মেয়ে জোসনা সিনেমা করে হিট হলো। অথচ আমাকে এখন পিটিয়েও যদি বলা হয় ওর গান শুনতে হবে, মাহফুজুর রহমানের গানের শোনার মতো নির্যাতন মনে হবে। এখন স্বদেশী গান থেকে বরং বিদেশি গানই ভালো লাগছে, বিশেষ করে ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি ক্ল্যাসিক, গজল। হীরামান্ডির গানগুলো তো পাগল করে দিয়েছে। স্বদেশী গায়ক থেকে আতিফ আসলাম, অরিজিৎ সিং দখল করে আছে গানের সময়। বাংলাদেশি গানের মধ্যে ফোক টানছে বরাবরের মতোই। আকর্ষণীয়। কোক স্টুডিও বাংলার গান শোনা হচ্ছে। কোক স্টুডিও বাংলাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়, অনেক গানকে তারা নতুন করে তুলে আনছে বলে। নতুন কিছু শ্রোতা সৃষ্টি হচ্ছে। এক জেনারেশনের গান আরেক জেনারেশন শোনার সুযোগ পাচ্ছে। ওয়ারফেজের অবাক ভালোবাসা শুধু নতুন জেনারেশনের কাছে আসেনি, আমার মতো পুরনো জেনারেশনেরও শোনার সুযোগ হলো তাদের কল্যাণে। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
